আন্তর্জাতিক

ফ্রান্সে বাড়িতে অগ্নিকাণ্ড, ৭ সন্তানসহ মায়ের প্রাণহানি

উত্তর ফ্রান্সের একটি বাড়িতে আগুন লেগে মাসহ তার দুই থেকে ১৪ বছর বয়সী সাত সন্তানের মৃত্যু ঘটেছে। আগুন লাগার সময় তারা ঘুমাচ্ছিলেন। সোমবার এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে দেশটির পুলিশ এবং দমকলকর্মীরা জানিয়েছেন। খবর এএফপির।

প্যারিস থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার পূর্বে চার্লি-সুর-মারনে শহরের বাড়িটিতে মধ্যরাতের কিছু পরেই ফ্রান্সের এক দশকের ইতিহাসে ঘটে যাওয়া সবচেয়ে মারাত্মক অগ্নিকাণ্ডের আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

স্থানীয় প্রসিকিউটর জুলিয়েন মরিনো-রস এএফপিকে জানিয়েছেন, মা ও তার সন্তানদের শ্বাসরোধে মৃত্যু হয়েছে। বাড়ির নিচতলায় কাপড়ের ড্রায়ারের ত্রুটি থেকে আগুনের সূত্রপাত ছিল বলে মনে হচ্ছে।

প্রতিবেশীরা রাত ১টার ঠিক আগে আগুনের খবর জানাতে ফায়ার ডিপার্টমেন্টকে ফোন করেছিল। তারা জানিয়েছে, মহিলার স্বামী গুরুতরভাবে দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে স্থানান্তরিত হয়েছে।

নিহত সন্তানদের মধ্যে পাঁচটি মেয়ে এবং দুইটি ছেলে রয়েছে। তাদের মধ্যে মহিলার আগের সংসারের চার সন্তান।

প্রসিকিউটর বলেছেন, বাবা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছিলেন বলে মনে হচ্ছে যখন বাচ্চারা এবং তাদের মা বাড়ির দ্বিতীয় তলায় আগুন থেকে আশ্রয় চেয়েছিল, কিন্তু সেটি করতে গিয়ে তারা আরও ফেঁসে গেছে।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে বাড়ির বৈদ্যুতিক জানালার শাটারগুলি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, যার কারণে উদ্ধার প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। মোট ৮০ জন দমকলকর্মীকে ঘটনাস্থলে ডাকা হয়েছিল এবং কয়েক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিভানো সম্ভব হয়েছে।

২০১৩ সালের পর এই ট্র্যাজেডিটি ছিল সবচেয়ে খারাপ ঘটনা। সেবার উত্তর ফ্রান্সে অগ্নি দুর্ঘটনায় দুই থেকে নয় বছর বয়সী পাঁচ শিশু শ্বাসরোধে মারা যায়।

Back to top button
error: Alert: Content is protected !!